সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :-বাড়ছে মানুষ। বাড়ছে শিল্প কারখানা। সেই সাথে বাড়ছে দূষণ। তাই আবহাওয়াও পাল্টে যাচ্ছে। তার প্রমাণ দিল হবিগঞ্জে জ্যৈষ্ঠ মাসে শীতের ঘন কুশায়ায়।
৯ জুন ভোর বেলায় অনেকেই ঘুম থেকে উঠেছেন। তারাই দেখেছেন ঘন কুয়াশা। এরমধ্যে অনেকে ভয় পেয়ে মনে করছেন কোথায় কি আগুন লেগেছে। আগুনের ধোঁয়া চার পাশে অন্ধকার করছে। কিছুক্ষণ পরে লক্ষ্য করে দেখা গেছে ধোঁয়া নয় ঘন কুয়াশা।
জেলার বাহুবল উপজেলার আমতলী চা বাগানের ম্যানেজার সোহেল রানা পাঠান ফেসবুকে কুয়াশার কয়েকটি ছবি পোস্ট করে লিখেন, আবহাওয়ার হেঁয়ালি আচরণে বাংলাদেশে দিন দিন বদলে যাচ্ছে ঋতুচক্র?
বনগবেষক আহমদ আলী বলেন, এ সময়ে কুয়াশা চিন্তা কঠিন। কেন যে অবস্থা হচ্ছে? তবে আবহাওয়া পাল্টে যাওয়ার পেছনে একশ্রেণীর মানুষ দায়ী। তারা অবাধে পাহাড় ও গাছ কেটে সাবাড় করছে। ছয়ঋতু টিকিয়ে রাখতে হলে হাওর ও পাহাড় রক্ষায় দ্রত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বেশী করে গাছ লাগাতে হবে।
টিলা ধসের প্রতিকারের উপায় হিসেবে ছড়া থেকে অবাধে বালু উত্তোলনকে দায়ী করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল।
তিনি বলেন, হবিগঞ্জের পাহাড়ি এলাকায় মাটির নিচে রয়েছে গ্যাস। আর মাটির ওপর উৎপাদন হচ্ছে চা, রাবার, লেবু, কমলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য। এসব ফল, ফসল উৎপাদনে লাখ লাখ মানুষ নিয়োজিত থাকায় জীবিকার পথ তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখানে এক শ্রেণীর লোক পাহাড় টিলা কেটে পরিবেশকে হুমকীতে ফেলে দিচ্ছে। শিল্প বর্জ্যে নদী ও হাওরের পানি নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ করছে। মানুষ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সময়মত বৃষ্টি হচ্ছে না। অসময়ে কুয়াশার দেখা পাওয়া যাচ্ছে।
চুনারুঘাট উপজেলার গ্রিণল্যান্ড পার্কের পরিচালক কাজী মাহমুদুল হক সুজন বলেন, সকালে কুয়াশা দেখে অবাক হয়েছি। এ সময়ে এমনটা দেখে মনে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় পাহাড় ও হাওরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। লাগাতে হবে বেশী করে পরিবেশবান্ধব গাছ।
বাহুবল মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি নূরুল ইসলাম নূর বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। না হলে এভাবে অসময়ে কুয়াশা দেখা যাবেই।